ঢাকার নবাবগঞ্জে ১৩ বছর বয়সি এক কিশোরী সংঘবব্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে লোকলজ্জার ভয়ে গর্ভপাত করানো হয় ভুক্তভোগীকে। বিষয়টি জানাজানি হলে এ ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে শনিবার (১৯ জুলাই) রাত ৯টার দিকে আলী আকবর (৬২) নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। তবে কৌশলে পালিয়ে গেছে অপর অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন (৪০)।
আটককৃত আলী আকবর উপজেলার কলাকোপা ইউনিয়নের পানালিয়া গ্রামের মৃত সামাদ বেপারীর ছেলে। পলাতক আলমগীর হোসেন একই গ্রামের আলী আকমতের ছেলে।
কিশোরীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কিশোরীর বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। পরিবারের প্রয়োজনে মাকেও থাকতে হয় বাড়ির বাহিরে। ৭ থেকে ৮ মাস আগে আলী আকবর ও আলমগীর মেয়েটিকে বাড়িতে একা পেয়ে ঝাপটে ধরে। চিৎকার করলে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। পরে তারা দুজন মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলা হবে বলে তাকে ভয় দেখায়। এভাবে তারা সংঘবদ্ধভাবে কিশোরীটিকে চার মাসে কয়েকবার ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
কিশোরীর অসহায় পরিবার বিষয়টি বুঝতে পেরে লোকলজ্জার ভয়ে গর্ভপাত করায়। এ খবর এলাকায় জানাজানি হলে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত আলী আকবর ও আলমগীর হোসেনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। চতুর আলমগীর ঘরের পেছনের জানালা ভেঙে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ‘আমি দিনমজুর,তাই বলে আমাদেরও তো সমাজে সম্মান আছে। শনিবার বিকালে গোপনে মেয়ের গর্ভপাত করানো হয়েছে। আমি ওই দুই লম্পটের উপযুক্ত বিচার চাই।’
নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. রাজিবুল ইসলাম বলেন, এক ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। আরেকজন পালিয়েছে বলে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঊষার আলো-এসএ