বটিয়াঘাটা ভূমি অফিসের নাজির সাইফুল ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে ২০ হাজার টাকা চেয়েছেন ০১৭২৭৫৩০১০৩(নাম্বারে) অজ্ঞাত নামা এক ব্যক্তি। জানা যায় প্রধান উপদেষ্টার বরাবর একটি টাইপকৃত অভিযোগের ছবি পাঠিয়ে ফোনে জানিয়েছে ২০ হাজার টাকা দিলে এই অভিযোগ আটকে দেয়া হবে। তিনি নিজেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলে দাবি করেন। কিন্তু অভিযোগকৃত প্যাডে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের কোনো সিল বা স্বাক্ষর ছিলোনা। ট্রু কলারে ফোন দিয়ে তার সাথে কথা বলে জানা যায় উক্ত ব্যক্তির নাম খায়রুল ইসলাম। মুঠোফোনে ফোন দিয়ে তার নাম জানতে চাইলে তিনি তার নাম খায়রুল ইসলাম ও তিনি ঢাকার একজন ব্যবসায়ী বলে দাবী করেন। ভূমি অফিসের কর্মকর্তার কাছে চাঁদা দাবী করায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছ। জানতে চাইলে বটিয়াঘাটার ভূমি কর্মকর্তা শোয়েব সাত ঈল ইভান বলেন, বিষয়টি শুনে আমি বিব্রত হয়েছি। গত ২ জুন বটিয়াঘাটায় যোগদান করে বারভুইয়া মৌজায় ভূমিদস্যুরা সরকারি খাল অবৈধভাবে বাধ দিয়ে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করলে তিনি তৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধ কেটে এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন করেন। এছাড়া সুরখালির নাইনখালি, ভান্ডার কোটের গোগের খাল, বালিয়াডাঙ্গার, নোয়াপাকিয়া খালসহ বিভিন্ন খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করেন। এছাড়াও তার অফিসে সাধারণ মানুষ সেবা নিতে আসলে কোনো জটিলতা হলে তিনি নিজে মনোযোগ সহকারে শুনে সমাধান করেন। ভূমি কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আমার নজরে এসেছে, আমাদের ধারনা টাকা চাওয়া ব্যক্তি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের কেউ নন। আমার অফিসে টাকা চাওয়ায় আমি আইন গত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ঊআ-বিএস