UsharAlo logo
শনিবার, ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আরও ১২ লাখ ডোজ টিকা ‘উপহার’ পাঠাচ্ছে ভারত

ঊষার আলো
মার্চ ২৫, ২০২১ ৮:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত আরও ১২ লাখ ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকা বাংলাদেশকে উপহার পাঠাচ্ছে ভারত। আগামীকাল শুক্রবার (২৬ মার্চ) এই টিকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এ খবর জানা যায়।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবসেই ঢাকা আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি থাকবেন তিনি।
ভারত এর আগেও ২০ লাখ ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকা উপহার হিসেবে দিয়েছিল বাংলাদেশকে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর এবং মুখপাত্র অধ্যাপক মোহাম্মদ রোবেদ আমিন জানান, শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকাল ৮টার ফ্লাইটে এবারের উপহারের ১২ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছাবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তারা জানতে পেরেছেন।
‘এটা গিফ্ট হিসেবে আসছে। আমাদের কেনা যে টিকা, এর সাথে এই টিকার কোনও সম্পর্ক নাই। এটা কাল আসবে বলে আশা করা যায়। এটা গ্রহণ করার প্রস্তুতি চলছে।’
সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে গতবছর নভেম্বরে যে চুক্তি হয়েছিল, তার মধ্যে দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে।
ভারত সরকার উপহার হিসেবে যে ২০ লাখ ডোজ টিকা এর আগে দিয়েছিল, সেটাও ছিল সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, যা তারা বাজারজাত করছে কোভিশিল্ড নামে।
নভেম্বরের চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু বিপুল চাহিদা আর বিশ্বজুড়ে টিকার সরবরাহ সঙ্কটের মধ্যে ফেব্রুয়ারির চালানে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ পেয়েছে।
এর পরের চালান্ ২৬ মার্চ বা তার পর আসতে পারে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ আবদুল মান্নান। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় নিজস্ব চাহিদার কথা বিবেচনা করে ভারত সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার রফতানি সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছে বলে খবর এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা রোবেদ আমিন বলেন, ‘আমাদের কেনা যে টিকা, তাতে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে আসার কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসেছে ৭০ লাখ ডোজ। ফেব্রুয়ারির চালানের বাকি ৩০ লাখ এবং মার্চের চালানের ৫০ লাখ টিকার বিষয়ে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। এই ৮০ লাখ ডোজ টিকার ব্যাপারে এখনো ক্লিয়ার না। আসার কথা ছিল, তা এখনো পাইনি।

(ঊষার আলো-এমএনএস)