উষার আলো প্রতিবেদক : নগরীর খালিশপুর হাউজিং বাজারে কলেজ ছাত্রীকে যৌন হয়রানী, মারধর, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিমের মা আলেয়া বেগম বাদী হয়ে চারজনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে বাদী জানান।
আসামীরা হলেন হাউজিং বাজার এলাকার বাসিন্দা সোহেল, আবুল কালাম, নাজমা বেগম ও মোঃ সুজন। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মামলার প্রধান আসামী মোঃ সোহেলকে (২৫) শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খালিশপুর থানার এসআই গোলাম মোস্তফা জানান। অন্যান্য আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে আইও জানান।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাদীর মেয়ে তানিয়া সেতু নৌবাহিনী কলেজে লেখা পড়া করেন। সে এবার এইচএসসি ফল প্রার্থী। তার মেয়েকে এলাকার মাদক ব্যবসায়ী সোহেল প্রায় উত্যক্ত করে আসছে। বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। ছেলেটি ইতোমধ্যে একাধিক বিয়ে করলেও একটি বউও তার সংসারে নেই। সে এলাকায় ঘুরে বেড়ায় আর মেয়েটিকে উত্যক্ত করে। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ভিতর ঘরে বাদী রান্না করছিল। সামনের ঘরে মেয়ে সেতুকে একা পেয়ে সোহেল যৌন হয়রানির উদ্দেশ্যে তাকে ঝাপটে ধরে। ভিকটিম সেতুর চিৎকারে ঘরের সবাই এগিয়ে এসে দেখে সোহেল মেয়েটির সাথে ধস্তাধস্তি করছে। তার আগেই সেতুর জামা টেনে ছিড়ে ফেলে সোহেল এবং শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এ সময় সোহেলকে বাদী বকাঝকা করে ঘর থেকে বের করে দেয়। ঘটনার কিছু পরে সোহেলসহ চারজন দলবদ্ধ হয়ে দেশী ধারালো অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে বাদীর ঘরে জোরপূর্বক ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা বাদী ও তার পরিবারের তিন সদস্যকে কুপিয়ে ও মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। আহতরা হলেন ভিকটিম সেতু, মা আলেয়া, বাবা শহিদুল। এ সময় তারা ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও নগদ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। তাদের ডাক চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় ৯৯৯ নাম্বারে কল করলে খালিশপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন এবং সোহেলকে গ্রেফতার করে। আহতদের উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রতিবেশী জসিম ও সোহেল জানান, এ পরিবারের অত্যাচারে সেতু পরিবারটিসহ এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। পরিবারের নাজমা বেগম সুদের ব্যবসায়ী। সুদের টাকায় সে এলাকার কাউকে মানুষ মনে করে না।