বাংলাদেশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা অর্ডিন্যান্স জারি এবং স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের একদফা দাবিতে গত ১৪ দিন ধরে চলছে সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। এতে অচল অবস্থায় পড়েছে মিরপুর-১৩ নম্বরে অবস্থিত ক্যাম্পাস।
এর মধ্যে ৩৬তম ব্যাচে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম চলার ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাধায় রোববার (১৩ জুলাই) পর্যন্ত ভর্তি হতে পারেনি কোনো শিক্ষার্থী। অচলাবস্থার কারণে শূন্য আসন রেখেই শেষ হতে চলেছে ভর্তির প্রক্রিয়া। আজ সোমবার ইউনানি-আয়ুর্বেদিক কলেজে ভর্তির শেষ তারিখ। আন্দোলনের কারণে হয়তো আজও কেউ ভর্তি হতে পারবে না।
আন্দোলনরত মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা বলছেন, স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠন না হওয়া পর্যন্ত আর কোনো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে দেবেন না তারা। তাই বর্তমান শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তারা।
ভর্তি কার্যক্রমের নতুন সময়সূচি ঘোষণা হলেও ক্যাম্পাসে অবস্থান করে তা প্রতিহত করার কর্মসূচি অব্যাহত রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আন্দোলনরত মেডিক্যাল কলেজটির শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, কলেজ প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছর হলেও এখন পর্যন্ত নিজস্ব কাউন্সিল গঠন হয়নি। ১৯৯৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক প্রজ্ঞাপনে আদেশ দেয়, বিএমডিসির আদলে বিএএমএস, বিইউএমএস ডাক্তারদের জন্য আরেকটি পৃথক কাউন্সিল গঠনের। কিন্তু ২৯ বছর অতিবাহিত হলেও তা গঠিত হয়নি।
বিএইচএমএস চিকিৎসকদের জন্য হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা ও চিকিৎসা আইন ২০২৩ সালে পাশ হলেও বৈষম্যের শিকার হয় তারা। এছাড়াও পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ না থাকা, বিসিএসে ক্যাডারভুক্ত না হওয়া, পোস্ট গ্রাজুয়েশন সুযোগ না থাকা, হাসপাতালের মান উন্নয়ন সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত সম্ভাবনাময় এই সেক্টর।
ঊষার আলো-এসএ