ঊষার আলো রিপোর্ট : সয়াবিন তেলের দাম বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রস্তার ফিরিয়ে দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এর আগে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সমিতি বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ১ মার্চ থেকে ১৮০ টাকা লিটার দরে সয়াবিন তেল বিক্রির কথা জানায়।
মন্ত্রী বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক বাজারে রান্নার উপকরণটির দাম বাড়ায় দেশেও কয়েক দফা দাম বাড়ছে। সর্বশেষ গত ৬ ফেব্রুয়ারিলিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৬৮ টাকা করা হয়। ২০ দিন যেতে না যেতেই দাম নতুন করে বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন তেল ব্যবসায়ীরা। তারা ১ মার্চ থেকে বাড়তি দাম কার্যকরের ঘোষণাও দিয়েছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে এসেছিলেন। তেলের দাম বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাব করেছেন। তবে কত টাকা বাড়াতে চান সে দামের কোনো কথা উল্লেখ করা হয়নি। আমরা তাদের আরও কিছু সময় অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেছি।
‘রমজানের আগে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হবে না। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম আরও বাড়লেও বাড়বে না। বিশ্ববাজারে যদি বাড়লেও, ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করব সেটা সহ্য করার জন্য।’
তেলের দাম বাড়াতে হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগবে। ফলে বাণিজ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর কার্যত সেটি নাকচ হয়ে গেল।
দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়ে শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি সিটি গ্রুপের পরিচালক (অর্থ) বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘লিটারে ১৬৮ টাকায় যে তেল আমরা বিক্রি করছি, সেটির আন্তর্জাতিক বাজার ছিল টনপ্রতি ১ হাজার ৩০০ ডলার। এখন যে তেল আমরা বাজারে ছাড়তে যাচ্ছি, সেটি ১ হাজার ৪২০ ডলারের। আগামী এক থেকে দেড় মাস পর আন্তর্জাতিক বাজারে কোথায় গিয়ে ঠেকে, সেটি আমরা এখনই বলতে পারছি না। কিন্তু ১ হাজার ৭০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস আছে। তখন পরিস্থিতি কী হবে, তা জানি না।’
আমদানি করা নিত্যপণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণে ট্যারিফ কমিশন আছে। সংস্থাটি ১০-১৫ দিনের দাম দেখে দেশের দাম সমন্বয় করে।