ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে ন্যূনতম বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং হওয়ার দাবিসহ তিন দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ শেষে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে এক সংবাদ সম্মেলন করে দাবিগুলো তুলে ধরেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘দিয়েছি তো রক্ত আরও দেবো রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’সহ নানা স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘যেখানে রুয়েট-কুয়েটে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়ার পক্ষে স্টেটমেন্ট দিয়েছে, আমাদের বুয়েট প্রশাসন সেখানে নিরব। আমাদের দাবি হচ্ছে বুয়েট প্রশাসন আমাদের তিন দফার পক্ষে স্টেটমেন্ট দেবে। আমাদের সঙ্গে বুয়েট প্রশাসনের একাত্মতা প্রকাশ করতে হবে এবং আমাদের সঙ্গে যে বৈষম্য হচ্ছে ২০১৩ সাল থেকে, সেই স্টেটমেন্টটা উঠিয়ে নিতে হবে। বুয়েট প্রশাসন মিনিস্ট্রিতে একটা লেটার পাঠাবে, যেখানে আমাদের দাবিগুলো উল্লেখ থাকবে।’
বুয়েট শিক্ষার্থীদের ৩ দাবি
১. ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনও পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
২. টেকনিক্যাল ১০ম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষাতে ডিপ্লোমা ও একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর যোগ্যতাসম্পন্ন বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক উভয়ের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
৩. বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে অন্যান্য দেশের মতো যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন এক্রিডিটেড বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিএফ এক্রিডিটেশনের আওতায় আনতে হবে।
ঊষার আলো-এসএ